ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

‘সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালাবে তুরস্ক’

মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালাবে তুরস্ক। এমনটাই জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, তুরস্ক থেকে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৩০ কিলোমিটার সীমানা বরাবর অভিযানটি চালানো হবে। যাতে সহজেই সিরিয়ার অভ্যন্তরে নিরাপদ অঞ্চল গঠন করা যায়।


তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সিরিয়ার মূল ভূখণ্ডের ভেতরে সন্ত্রাসী অধ্যুষিত এলাকায় তুর্কি সৈন্যরা বেশকিছু অভিযান চালাবে। অভিযানের আওতায় সিরিয়ার তাল রিফাত এবং মানবিজ শহর থাকবে।


বুধবার (১ জুন) রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে এরদোগান এসব কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে মানবিজ এবং তাল রিফাত শহরকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে সব অঞ্চলেই আমাদের সেনাবাহিনী অভিযান চালাবে।


এ দিকে স্বাধীন রাষ্ট্র সিরিয়ার অভ্যন্তরে এরই মধ্যে তুরস্কের এই সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের তীব্র বিরোধিতা করছে বাশার আল-আসাদের সরকার। দামেস্ক বলছে, তুরস্কের কখনোই সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করার অধিকার নেই।


বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে যেসব কুর্দি গেরিলা তৎপর রয়েছে তাদের নিজের জন্য হুমকি বলে মনে করে তুরস্ক। মূলত এ জন্য পিকেকে এবং ওয়াইপিজির মতো সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আঙ্কারা।


উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছে। সিরিয়ার কুর্দি গেরিলাদের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে আসছে মার্কিন সরকার। মূলত এ নিয়ে আমেরিকা এবং তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘ টানাপড়েন রয়েছে।

ads

Our Facebook Page